ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননা

জেলার সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশাল প্রতিবাদ সভা

এম.এ আজিজ রাসেল ::  ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর ও ভাস্কর্যবিরোধী প্রচারণায় উসকানির প্রতিবাদে বিশাল প্রতিবাদ সভা করেছে কক্সবাজার জেলার সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার আশেকুর রহমান, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ সারথী সৌম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাশেম, কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, জেলা ৩য় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কান্তি পাল।

সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ।

সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। এই মহানায়ক না হলে আমরা পেতাম না লাল-সবুজের পতাকা। মিলত না নিজস্ব মানচিত্র। তাঁর জন্যই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাণভরে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছি। চাকুরী করছি পদস্থ পদে। তিনি পুরো জীবন বাঙালি জাতির জন্য সঁপে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন গহীন অন্ধকার কারাগারে। তাই তার অবদান কোনদিন ভুলবে না বাঙালি জাতি।

তাঁর উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ চূড়ায় নিয়ে গেছেন। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর ও ভাস্কর্যবিরোধী প্রচারণায় করা হচ্ছে। এটি গভীর ষড়যন্ত্র। ইসলামের লেবাসধারী কতিপয় মৌলবাদী অন্য দেশের মিশন বাস্তবায়নে এমন জঘন্যতম কাজ করছে। জাতির পিতার প্রতি এই অবমাননা আমরা সহ্য করবো না। তাই প্রত্যেক দেশপ্রেমীদের তাদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ।

সভায় বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

সভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন কক্সবাজার শাখা, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখা, জেলা পুলিশ, জেলা সিভিল সার্জন, জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার বন বিভাগ, টুরিস্ট পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর।

পাঠকের মতামত: